Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন

কালেরস্বাক্ষী বহনকারী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাধীন গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজারে একটি ঐতিহ্যবাহী হলো গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ । কাল পরিক্রমায় আজ গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন  শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।

 

ক) নাম – ১১নং গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন।

খ) আয়তন -১২,০০০ (বর্গ কিঃ মিঃ)

গ) লোকসংখ্যা – ২৬১১৩ জন (প্রায়) (২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী)

               পুরুষ- ১২৮৩৯,   নারী- ১৩২১৪

ঘ) গ্রামের সংখ্যা – ৫৪ টি।

ঙ) মৌজার সংখ্যা – ৩৩ টি।

চ) হাট/বাজার সংখ্যা – ০৪ টি।

ছ) উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ মাধ্যম – বাস/সিএনজি/রিক্সা।

জ) শিক্ষার হার – ৮৫%। (২০০১ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)

     সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়– ০৯টি,

     বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়– ০৬টি,   

     উচ্চ বিদ্যালয়–  ০৪টি,

     মাদ্রাসা– ০৪টি।

ঝ) দায়িত্বরত চেয়ারম্যান – জনাব আখলাকুর রহমান

ঞ) গুরুত্বর্পূণ ধর্মীয় স্থান- ০২ টি।

ট) ঐতিহাসিক/পর্যটন স্থান – নাই।

ঠ) ইউপি ভবন স্থাপন কাল – ২৬/১২/১৯৯৪ইং।

ড) নব গঠিত পরিষদের বিবরণ –

                                    ১) শপথ গ্রহণের তারিখ – ১২/০৫/২০১৬ইং

                                    ২) প্রথম সভার তারিখ – ২২/০৫/২০১৬ ইং

                                    ৩) মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিথ – ১১/০৫/২০২১ইং

ঢ) গ্রাম সমূহের নাম –    

সৈদেরগাঁও, বড় সৈদেরগাঁও, ধারণ, কাকুরা, বদিরগাঁও, জালালপুর,  ফুরকান চক, ফরিদপুর, পীর নগর, কটালপুর, শ্রীপুর, আলমপুর, গোপাল নগর, হাইলকেয়ারী, মল্লিকপুর, সাউদপুর, চারালকোনা, পীরপুর, খাগামুড়া, গোয়াশপুর, নোয়াগাঁও, বাউভোগলী, কশ্ববড়াই, গহরপুর, গোবিন্দ নগর, বিলপাড়, সিঙ্গুয়া, একানিধা সিঙ্গুয়া, দশঘর, বিশ্বম্ভরপুর, গৌরনগর, লক্ষীপুর, বুড়াইরগাঁও, সদরপুর, হায়াতপুর, আলাপুর, স্বরমল্লা, দয়ারাই, পশ্চিম সুহিতপুর, সুহিতপুর, পূর্ব সহিতপুর, লক্ষীপুর, গোবিন্দপুর, মোল্লাআতা, উওর চাকলপাড়া, দক্ষিণ চাকলপাড়া, চাকলপাড়া, পূর্ব চাঁনপুর, ব্রাহ্মনগাঁও, পশ্চিম চাঁনপুর, সোনারগাঁও, তকিপুর, বেরাজপুর, খিদিরপুর, আসামপুর।

 

ণ) ইউনিয়ন পরিষদ জনবল –

               ১) নির্বাচিত পরিষদ সদস্য – ১৩ জন।

               ২) ইউনিয়ন পরিষদ সচিব – ০১ জন।

               ৩) ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ –    ০৮ জন।


 

গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ইতিহাস

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের অবস্তিত গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ , সব দিক দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নত, ব্যাবসা বানিজ্য দিক থেকে অনেক এগিয়ে, অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ জন্ম নিয়েছেন, তাদের পরশে আজ এই পরিষদ অনেক এগিয়ে গিয়েছে, অনেক কলেজ, ইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, অবস্তিত /

 

ইউনিয়ন,বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট । গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে, ১৮৭০ সালে কিছু পল্লী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলে ইউনিয়নের সৃষ্টি হয় । এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয় । এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয় । প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলে ও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে।

তারই ফলশ্রুতিতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের জন্ম । গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ১ম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন জনাব মরহুম তফজ্জল আলী চৌধুরী সন-১৯৬২ ।


ভাষা ও সংস্কৃতি

 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য হাজার বছরের বেশি পুরনো। ৭ম শতাব্দীতে লেখা বৌদ্ধ দোহার সঙ্কলন চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। মধ্যযুগে বাংলা ভাষায় কাব্য,লোকগীতি ও পালাগানের প্রচলন ঘটে। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বাংলা কাব্য ও গদ্য সাহিত্যের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলা ভাষায় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলার লোক সাহিত্যও সমৃদ্ধ মৈমনসিংহ গীতিকায় এর পরিচয় পাওয়া যায়।

 

বাংলাদেশের সংগীত বাণীপ্রধান; এখানে যন্ত্রসংগীতের ভূমিকা সামান্য । গ্রাম বাংলার লোক সঙ্গীতের মধ্যে বাউলগান, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, মুর্শিদী, গম্ভীরা, কবিগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । গ্রামাঞ্চলের এই লোকসঙ্গীতের সাথে বাদ্যযন্ত্র হিসাবে মূলত একতারা, দোতারা, ঢোল, বাশি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।বাংলাদেশে নানা ধরন নৃত্যশিল্প প্রচলিত । এর মধ্যে রয়েছে উপজাতীয় নৃত্য, লোকজ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ইত্যাদি। দেশের গ্রামাঞ্চলে যাত্রা ও পালাগানের প্রচলন রয়েছে ।

 

এখানকার প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের উত্সব-ঈদুল ফিতর, ঈদুল ও আযহা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের, দুর্গাপূজা । বৌদ্ধদের প্রধান উত্সব বুদ্ধ পূর্নিমা, আর  খ্রীস্টানদের বড়দিন। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব হচ্ছে দুই ঈদ, অর্থাৎ ঈদ-উল-ফিত্‌র ও ঈদ-উল- আজহা । ঈদ-উল-ফিতরের আগের দিনটি বাংলাদেশে ‘চাঁদ রাত’ নামে পরিচিত । ছোট ছোট বাচ্চারা এ দিনটি অনেক সময়ই আতশবাজির মাধ্যমে পটকা ফাটিয়ে উদযাপন করে।

ঈদ-উল-আজহার সময় শহরাঞ্চলে প্রচুর কোরবানির পশুর আগমন হয়, এবং এটি নিয়ে শিশুদের মাঝে একটি উৎসব মুখর উচ্ছাস থাকে । এছাড়া বাংলাদেশের সর্বজনীন উত্সবের মধ্যে পহেলা বৈশাখ প্রধান । গ্রামাঞ্চলে নবান্ন, পোষ পার্বণ ইত্যাদি লোকজ উত্সবের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরনে ২১ ফেব্রুয়ারী তারিখে শদীদ দিবস পালিত হয় ।

আমরা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক ।