Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ''মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধ লাইব্রেরি এবং বৃক্ষের চারা বিতরন'' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব সাবিরুল ইসলাম।
বিস্তারিত

অদ্য ২০/১১/২০১৭ইং তারিখ রোজ সোমবার বিকাল ০৩ ঘটিকার সময় ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধ লাইব্রেরি এবং বৃক্ষের চারা বিতরন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সুনামগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব সাবিরুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসির উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য হুসাইন আহমদ লনির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল। গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধান অতিথি ২৭ মিনিটের দেয়া বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলাকে ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, এ জেলায় যা রয়েছে বাংলাদেশের কোন জেলাতেই তা নেই। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যথাক্রমে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ণ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপিত হলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা নতূন প্রজন্মরা জানতে পারবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এ খুশিতে দেশ ব্যাপী ২৫ নভেম্বর বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপিত হবে। বাঙালি জাতির বিভিন্ন অর্জন ও সাফল্যের ইতিহাস টেনে বলেন, ২১ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। এ দিবসটি বাংলাদেশের ন্যায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালন করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমন্বত রাখতে সরকার আলাদা ভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন করেছে। এখানে রাধারমন, দূর্বীনশাহ, হাছনরাজা, আবদুল করিমসহ অসংখ্য লোক সঙ্গিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় ১৫ ভাগ ধান উৎপাদিত হয় এই সুনামগঞ্জে। গেল বন্যায় কৃষকের ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরও এ অঞ্চলের মানুষ ধৈর্য্যরে সাথে মোকাবেলা করছে। হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মানে আর কোন প্রকার দূর্নীতি হতে দেয়া যাবেনা এ বিষয়েও সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সুনামগঞ্জের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ স্মারক স্থাপন করা হবে। সব শেষে তিনি গোবিন্দগঞ্জ বাজারে ড্রেন না থাকায় ময়লা আবর্জনা এবং ইজারাদার কর্তৃক টুলের তালিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ২৪ঘন্টার মধ্যে টুল আদায়ের তালিকা সাটানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানকে তিনি নির্দেশ দেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধা আবদুস সামাদ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমীন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম বদরুল আলম, কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ আলম, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন প্রমূখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোর আন তেলাওয়াত করেন, গোবিন্দগঞ্জ নতূনবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন দুদু। সভায় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক বাবু তাপস দাস পুরকায়স্থ, বীর মুক্তিযুদ্ধা কবির উদ্দিন লালা, গোবিন্দগঞ্জ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আশরাফুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, মুক্তিযুদ্ধা নুরুল হক, ফারুক আহমদ, শুকুর আলী, তোতা মিয়া, আছদ্দর আলী, আরব আলী, তোরাব আলী সাধু, নিরেন্দ্র কুমার দাস, হিরেন্দ্র কুমার দাস, মাস্টার-পরেশ চন্দ্র দাস, পঙ্কজ দত্ত, রেজ্জাদ আহমদ, ইউপি সদস্য সামছুল হক, আলকাব আলী, আনোয়ার আলী, রাজন তালুকদার, মাহমদ আলী, নিজাম উদ্দিন, রেহেনা বেগম, ছাদিকা বেগম ও শুভা রানী দাশ, ইউপি সচিব অধীর রঞ্জন দাস ও উদ্যোক্তা সুজেল মিয়াসহ সাংবাদিক, ব্যবসায়ি, মুক্তিযুদ্ধা পরিবার ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বৃক্ষ ও শাক-সবজির বিজ ও চারা বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।##

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
20/11/2017
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2017